যেভাবে আপনি আপনার এডের খরচ কমাতে পারেন
ফেসবুকে এড তো আমরা কম বেশী সবাই চালাই। কিন্তু সবাই কি কম খরচে বেশী সেল জেনারেট করতে পারি? আজকে আমরা জানবো কিভাবে আমরা আমাদের ফেসবুকের এড Cost কমাতে পারি।
ফেসবুকে এড চালানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মূল বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করবো। সেগুলো হলো – Content Quality, Audience Targeting, Campaign Budget, Campaign Objective, Proper Tracking, এবং Retargeting।
Content Quality: আপনার Ad এর Quality কেমন তা আপনার খরচ কমানোর ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি বিষয়। আপনার এডের কোয়ালিটি যদি খারাপ হয় অর্থাৎ আপনার এড দেখে মানুষ যদি Ignore করে অথবা Block করে দেয় অথবা Engage না করে তাহলে আপনার এডের দাম বেড়ে যাবে। একইভাবে আপনার এডের কোয়ালিটি যদি ভালো হয় মানে মানুষ সহজেই Engage করে বা Convert হয় তাহলে আপনার দাম কমে যাবে। অর্থাৎ, আপনি কম খরচে বেশী মানুষকে এড দেখাতে পারবেন। Normally চিন্তা করুন আপনার এড যদি বাজে হয় এবং মানুষ যদি তা থেকে বিরক্ত হয় তাহলে ফেসবুক কেন আপনার এড মানুষের সামনে সহজে প্লেস করতে দিবে? তাই তখন ফেসবুক এডের দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই কম খরচে বেশী মানুষের কাছে পৌছাতে হলে আপনার এডের কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবে।
Targeting: Targeting একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর, তবে এতটাও গুরুত্বপূর্ণ নয় যে আমরা সব বাদ দিয়ে targeting করবো। আমরা যারা এড রান করি তারা মূলত শুধু targeting কেই ফোকাস করি আর অন্য কিছুর দিকে খেয়াল করি না। তাই এডের রেজাল্ট ভালো আসে না। আপনার Target Audience কে আপনাকে ভালো করে বুঝতে হবে। ভালো করে Audience না বুঝে Advance Targeting করলে তেমন ভালো রেজাল্ট পাবেন না। মনে রাখবেন, Targeting একটা অংশ, এটাই সবকিছু না।
Campaign Objective: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল টপিকের একটা। Campaign Objective অবশ্যই আপনাকে খুব ভালো হবে সিলেক্ট করতে হবে। Sale এর জন্য এড চালানো হলে কখনোই Campaign Objective Engagement ( ম্যাসেজ পাওয়া) দিবেন না। এতে করে দেখবেন আপনি প্রচুর ম্যাসেজ পাচ্ছেন কিন্তু সেলস তেমন পাচ্ছেন না। তাই আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেলস এড রান করতে হবে। কেন আপনার বিজনেসের জন্য একটি ওয়েবসাইট আবশ্যক এই বিষয়ে আমাদের একটি বিস্তারিত Article আছে। চাইলে পড়ে আসতে পারেন- Click Here
মনে রাখবেন ফেসবুককে আপনি যে Target দিবেন সে সেটার প্রতি ফোকাস করবে। আপনি যখন Engagement Campaign (ম্যাসেজ পাওয়া) চালান তখন ফেসবুকের মূল লক্ষ্য থাকে আপনাকে বেশী বেশী ম্যাসেজ দেওয়া। তাই, যারা বেশী ম্যাসেজ করে তাদের সামনে আপনার এডটি প্লেস হয়। তাই অবশ্যই আপনার উচিত সেলস এড চালানো।

Campaign Budget: আমরা অনেকেই Campaign বাজেটকে অবহেলা করি। কিন্তু আপনি কি জানেন, এডের খরচ কমানোর ক্ষেত্রে এর কি ভূমিকা রয়েছে? আপনি যদি কোন দোকান থেকে এক লিটার তেল কিনেন তাহলে প্রতি লিটারের দাম বেশি পড়বে নাকি ৫ লিটার তেল কিনলে বেশী পড়বে? অবশ্যই ১ লিটার তেল কিনলে খরচ বেশী পড়বে। ফেসবুকে এড চালানোর ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি প্রযোজ্য। আপনার Daily Budget বাড়াতে পারলে দেখবেন প্রত্যেক সেলে খরচ কমে গিয়েছে। আর এর মাধ্যমে আপনি ভালো প্লেসমেন্টগুলোও পেয়ে যাবেন। যার ফলে Ultimately আপনার এডের খরচ কমে যাবে।
Proper Tracking: Tracking কে আমরা সবাই অবহেলা করি। তবে এর গুরুত্ব অনেক বেশী। Proper Tracking এবং Retargeting এর মাধ্যমে আপনি এডের এডের খরচ অনেক কমাতে পারবেন। ফেসবুক পিক্সেল এবং Tracking নিয়ে আমাদের একটি বিস্তারিত Article আছে। চাইলে সেটাও পড়ে আসতে পারেন- Click Here
আমরা Tracking বলতে বুঝি ফেসবুকের কোড আমাদের ওয়েবসাইটের হেডারে রাখা। এটা Tracking এর কিছুই না। এর মাধ্যমে মাত্র 5-10 % track করতে পারবেন। Tracking অনেক বিস্তারিত বিষয়। এটি এডের খরচ কমানোর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Retargeting: Retargeting মানে হলো যারা আপনার সাথে Interact করেছে তাদেরকে পুনরায় Target করা। Retargeting Ad Campaign কে বলা হয় Most Profitable Ad Campaign। আপনি এখানে নির্দিষ্ট করে Target করতে পারবেন যে যারা গত ৩০ দিনে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে/ প্রডাক্ট এড টু কার্ট করেছে/ প্রডাক্ট কিনেছে। এড টু কার্ট এর উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা বুঝিয়ে দেই । যে আপনার প্রডাক্ট এড টু কার্ট করেছে, একটা চান্স আছে যে তার প্রডাক্টটি দরকার কিন্তু এখন কিনবে না। তার সামনে কয়েকবার এডটি গেলে সে প্রডাক্টটি কিনেই ফেলবে। এরকম আরো অনেক সুবিধা রয়েছে Retargeting করলে যেগুলো বলে শেষ করা যাবে না।
আর এভাবে এই সব বিষয়গুলো ঠিক মত Optimize করতে পারলে আপনার এডের খরচ অনেক কমে যাবে।